ফরিদপুর: জেলায় আমন ধানের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে বিনা চাষে উচ্চ ফলনশীল ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন গম উৎপাদনের উপর কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১০ মার্চ) বেলা ১০টার দিকে সদর উপজেলার মুন্সিবাজারের কাফুরা গ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় সিমিট বাংলাদেশ- ফরিদপুর হাবের উদ্যোগে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
মাঠ দিবস উপলক্ষে রবি মৌসুমে সঠিক সময়ে গমের বীজ বপনের উদ্দেশ্যে ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় সিমিট বাংলাদেশ- ফরিদপুর হাব অফিস বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে। কমর্সূচীর মধ্যে বিনা চাষে গম উৎপাদন, আমন ধানের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে গম চাষ, ব্লাষ্ট রোগ প্রতিরোধী জাতের গম বীজ উৎপাদন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. হজরত আলী।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পিযূষ রায়ের সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ হাসিবুল হাসান,প্রধান বৈঞ্জানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডঃসেলিম আহমেদ, সিমিট বাংলাদেশ ফরিদপুর হাবের কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ হিরা লাল নাথ, কৃষিবিদ কেএম জসীমউদ্দিনসহ স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা,কর্ষক,কৃষানী এবং সিমিট বাংলাদেশ ফরিদপুর হাবের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ ড. মো. হজরত আলী বলেন, ফসলের ভালো ফলন পেতে ৩টি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো হলো- বপনের সময়,সার ব্যবস্থাপনা এবং সেচ ব্যবস্থাপনা। সময় মতো গম চাষের ক্ষেত্রে জমি জো আসার অপেক্ষায় না থেকে ভিজা জমিতে বা আমন ধানের জমিতে বীজ ছিটিয়ে বপন একটি কার্যকরী পদ্ধতি হিসেবে প্রতিয়মান হয়েছে। জমির আদ্রতা ধরে রাখতে ও মাটির উপাদান ও গুণাগুণ বজায় রাখতে কম চাষে বা বিনা চাষের গুরুত্ব অপরিসীম। অপেক্ষাকৃত নিচু জমির ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, এই পদ্ধতিতে সঠিক সময়ে গম বপন করলে যেমন আশানুরুপ ফলন পাওয়া যায় তেমনি উৎপাদন খরচও কম হয়। তাছাড়া সংরক্ষণশীল কৃষির উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়ন হয়ে থাকে।
মাঠ দিবসে উপস্থিত কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের মাঠ পরিদর্শন করেন এবং নতুন এই প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়।
আগামীনিউজ/মালেক